cpaarzu.blogspot.com

আর্টিকেল লেখার টিপস (Article Writing Tips )

 

 আর্টিকেল লেখার টিপস (Article Writing Tips )



আর্টিকেল লেখা মোটেও সহজ না। অনেকেই মনে করেন যে কিছু একটা লিখে ফেললাম আর হয়ে গেল। 

Article লিখতে আপনাকে প্রচুর research করতে হবে।, ভালো বই পড়তে হবে। এবং লেখার সকল কৌশল সম্পর্কে জানা থাকতে হবে। 

আজকের আমি আর্টিকেল লেখার টিপস শেয়ার করব যা আপনাদের উপকারে আসতে পারে। তাহলে চলুন শুরু করা যাক। 




১। রিসার্চ করার দক্ষতা 

Article লেখার আগে যদি আপনি research না করেন তাহলে আর্টিকেল লিখতে অনেক সময় লাগবে। 

আপনি যদি আর্টিকেল research করে লেখেন তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আর্টিকেল লিখতে পারবেন এবং আর্টিকেলটি অনেক Informative হবে।

আর্টিকেল Writer হতে হলে আপনাকে প্রচুর research করার মানসিকতা থাকতে হবে। 

এখানে researchবলতে বোঝানো হয়েছে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেলটি দেখবেন সেই বিষয়ে পড়াশোনা করা।

আপনি যত বেশি রিচার্জ করবেন আর্টিকেলটি ততো Informative হবে। 

তাই রিসার্চ একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটাকে কখনোই Skipকরার চেষ্টা করবেন না। 

২ । সকালে আর্টিকেল লিখুন

আমি অনেক ভালো রাইটারদের research করেছি। অধিকাংশ লেখক সকালে লিখতে ভালোবাসেন। সকালে আপনার ব্রেন ফ্রেশ থাকে এবং সেই সময় আপনি অনেক ক্রিয়েটিভ্লি  লিখতে পারবেন।

আর সকালে পরিবেশ অনেক শান্ত থাকে আর আপনার মন ভালো থাকে। সকালে লিখে তিনি অনেক মজা পাবেন। 

আপনি যদি সকালে না লিখে থাকেন তাহলে সকালে লেখার ট্রাই করতে পারেন। আমি নিশ্চিত আপনি সকালে লেখার প্রেমে পড়ে যাবেন। 

৩। প্রচুর পড়ুন 

রাইটারদের সব সময় প্রচুর পড়তে হয়। ইংরেজিতে বলা হয় Writer is Reader । 

তাই আপনি যদি রাইটTর হতে চান আপনাকে পড়তেই হবে। 

আপনি যত পড়বেন তত আপনার রাইটিং স্কিল বেড়ে যাবে। তাই আপনাকে পরামর্শ দিব আপনি প্রতিদিন কমপক্ষে 2 ঘন্টা নির্দিস্ট বিষয়ের উপর পড়াশোনা করুন। 

৪। নিরিবিলি জায়গায় লিখুন

নিরিবিলি জায়গায় লিখলে আপনি রাইটিং অনেক  Concentrate করতে পারবেন। আমি নিরিবিলি জায়গা ছাড়া লিখতে পারিনা।

অনেকেই আছে যারা কফিশপ অথবা কোলাহল যুক্ত জায়গায় লিখতে পারে ,আমি জানিনা তারা কেমনে এটা করে। 

যাই হোক আপনি যদি নিরিবিলি জায়গায় লিখেন তাহলে আপনার রাইটিং অনেক সুন্দর এবং গোছানো হবে। 

৫। আর্টিকেল লেখার আগে আউটলাইন তৈরি করে নিন


আর্টিকেল লেখার আগে আউটলাইন তৈরি করে নিন। 

বিশ্বাস করুন আপনি যদি আর্টিকেল লেখার আগে একটি আউটলাইন তৈরি করেন তাহলে আপনি খুবই দ্রুত একটি আর্টিকেল লিখতে পারবেন। 

আউটলাইন বলতে বোঝায় আপনার টপিকের মূল অংশ গুলো লিখে রাখা। 

উদাহরণস্বরূপ ধরুন আপনি ব্লগিং  নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন । 

তাহলে আপনার আউটলাইন হতে পারে এরকম

ব্লগিং কি? 

ব্লগিং এর উপকারিতা। 

কিভাবে ব্লগিং শুরু করবো? 

ব্লগিং করে কত টাকা ইনকাম করা যায়। 

আপনি যদি মূলভাবটা এভাবে লিখে রাখেন তাহলে আপনি যখন আর্টিকেল লিখবেন তখন আর্টিকেল লেখা অনেক সহজ হয়ে যাবে। 

রাইটার ব্লক বলে একটা কথা আছে। আপনি যদি আউটলাইন লিখে আর্টিকেল লিখেন তাহলে আপনাকে আর রাইটার ব্লকে পড়তে হবে নাা

৬। আর্টিকেল এর মাঝে গল্প বলুন

মাঝেমধ্যে আর্টিকেল এর মাঝে গল্প বলা একটি দারুন প্র্যাকটিস ।এতে শ্রোতারা আপনার আর্টিকেলটি পড়তে আরো মনোযোগী হবে। 

আপনার আর্টিকেলটি যদি বোরিং সাবজেক্টে হয়ে থাকে তাহলে গল্প অনেক কার্যকরী। 

তাই মাঝেমধ্যে গল্প বলতে চেষ্টা করুন। 

৭। আর্টিকেল লেখার পর পরিমার্জন

আমরা অনেকেই আছি যারা আর্টিকেল লেখার পর পরই আমাদের ব্লগে পাবলিশ করে দেই।এতে আসলে অনেক ভুলভ্রান্তি থাকে 

আমাদের উচিত আর্টিকেল লেখার পর কমপক্ষে দুইবার পরিমার্জন করা। এর ফলে আর্টিকেল থেকে অনেক  ভুল দূর হয়ে যাবে। 

মাঝে মাঝে আর্টিকেলে অনেক সেন্টেন্স স্ট্রাকচার ঠিক থাকেনা। যখন আপনি আপনার ব্লগে রিভিশন দিতে যাবেন তখন সেই সেন্টেন্স গুলো ঠিক করে নিতে পারবেন। 

তাই আর্টিকেল পরিমার্জন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ।অবশ্যই আপনাকে আর্টিকেল রিভিশন দিতে হবে। 

৮। আর্টিকেল সহজ ভাবে লিখুন 

আর্টিকেল সহজ ভাবে লিখতে হবে যাতে সাধারণ রিডাররা খুব সহজেই বুঝতে পারে। 

অনেকেই আছে আর্টিকেল অনেক কঠিন কঠিন শব্দ ব্যবহার করে এবং নিজেকে অনেক স্মার্ট ভাবে। কিন্তু এতে কোন লাভ হয় না কারণ সাধারণ পাঠকরা এগুলো বুঝতে না পেরে ব্লগ পরিত্যাগ করে চলে যায়। 

তাই আমাদের উচিত ব্লগে সবসময় সিম্পল ওয়ার্ড ব্যবহার করা।

৯। ছোট ছোট বাক্য লিখুন

ছোট ছোট বাক্য একটি ব্লগ পোস্টের জন্য আদর্শ। সব সময় ছোট ছোট বাক্য লেখার চেষ্টা করবেন। এতে আপনার পাঠকরা আপনার ব্লগটি পড়তে অনেক স্বাচ্ছন্দবোধ করবে। 

ব্লগে লেখা এবং পত্র পত্রিকায় লেখা এক নয়

যারা ব্লগ পড়তে আসে তারা আসলে তাড়াহুড়া করে তাই ব্লগ লেখার কৌশল আলাদা 

১০। আর্টিকেল এর হেডিং এবং সাব হেডিং যুক্ত করুন

অনেকে আছে শুধু টেক্সটের পর র্টেক্স লেখা যায় কিন্তু কোন হেডিং সাভ হেডিং আর্টিকেলে রাখেনা। যেমন পত্রিকায় থাকে। 

এভাবে আর্টিকেল লিখলে আপনার আর্টিকেলটি পাঠকরা পড়তে চাইবে না। 

তাই সবসময় চেষ্টা করবেন আপনার আর্টিকেল এ হেডিং এড করার। 

একটা 1000 ওয়ার্ডের আর্টিকেলে কমপক্ষে 5 থেকে 6 টি সাফহেডিং অ্যাড করার চেষ্টা করবেন। 

১১। আর্টিকেল 3rd Person এ লিখুন

আর্টিকেল এমনভাবে লিখুন যাতে মনে হয় আপনি আপনার পাঠকদের সাথে কথা বলছেন। আপনার বন্ধুদের সাথে টেক্সট ম্যাসেজ করেন যেভাবে সেইভাবে আর্টিকেল লিখতে হবে। 

এতে করে আপনার এবং পাঠকদের মাঝে ভালো সম্পর্ক সৃষ্টি হবে। 

আর্টিকেলে সবসময়ই আপনি অথবা তুমি ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। 

আমি অনেককেই দেখেছি যে আর্টিকেল লিখে রিসার্চ পেপার এর মত। যেখানে শুধু কঠিন শব্দ ।

এভাবে আর্টিকেল দেখলে রিডাররা আপনার আর্টিকেলটি পড়তে উৎসাহিত হবে না। 

১২। আর্টিকেলে পিকচার ব্যবহার করুন

একটি পিকচার একটি ১০০০ ওয়ার্ডের আর্টিকেল এর চেয়েও বেশি কথা বলতে পারে। 

সো সবসময় চেষ্টা করুন আর্টিকেলে পিকচার ব্যবহার করার জন্য। এতে আপনার পাঠকদের অনেক উপকার হবে তেমনি পিকচার গুলো সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাংক করতে আপনাকে অনেক সহযোগিতা করবে। 

তাই ব্লকবুষ্টের সবসময় দুই থেকে তিনটি ফটো ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন। 

আশা করি আমাদের ব্লগ রাইটিং টিপস গুলো আপনার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে তাহলে প্লীজ কমেন্ট করে জানান কোন টিপসটি আপনার সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। 

আজকের মতো এখানেই শেষ করছি দেখা হবে আগামী আর্টিকেলে। ধন্যবাদ।

আরো পড়ুন

কিভাবে ব্লগিং শুরু করতে চান



















No comments:

email

Search This Blog

Followers